কোভিডের বড় একটি ঢেউ আঘান হানতে চলেছে সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিডের ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ফলে আ’শঙ্কা করা হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটির হাসপাতালগুলো কোভিড রোগীতে ভরে যাবে। প্রবীণ নাগরিক ও হাসপাতালের কর্মীদের রক্ষায় নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে দে’শটির কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হা’সপাতালগুলোতে সরাসরি পর্যবেক্ষন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দ্য স্ট্রেইট টাইমসের খবরে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ ঢেউ মোকাবেলায় ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ কার্যক্রমে গতি বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সি’ঙ্গাপুর। ফলে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়স্করাও এখন বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবে। স্বাস্থ্যখাতের উপরে চাপ কমাতে আসন্ন চীনা নববর্ষ উৎসব উপ’লক্ষ্যেও কড়াকড়ি আ’রোপ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী গান কিম ইয়ং শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশটির শনাক্ত হওয়া মো’ট কেসের ৭০ শতাংশই ও’মিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ডেল্টা ভ্যারিয়ে’ন্টকে ছাড়ি’য়ে অল্প সময়ের মধ্যেই কোভিডের প্রধান ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হয়েছে এটি। এ হার ৯০ শ’তাংশও হতে পারে বলে সতর্ক ক’রেছেন কিম ইয়ং।
কোভিড টাস্কফোর্সের সহকারি প্রধান অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওং বলেন, ওমিক্রন ঢেউয়ের পিক পূর্বের ডেল্টা ভ্যা’রিয়েন্টের পিককে ছাড়িয়ে যাবে। অল্প ক’য়েকদিনের মধ্যেই প্রতিদিন ১৫ হাজার মানুষের কোভিড-১৯ শনাক্ত হতে পারে সিঙ্গাপুরে। তবে পরিস্থিতি এর থেকেও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেন ওং। তিনি বলেন, অন্য দেশগুলোতে দেখা গেছে প্রতি ১ লাখে ৪০০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে যদি এ অংক প্রয়োগ করা হয় তাহলে দেখা যাবে প্রতিদিন ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার মানুষ কোভিডে আ’ক্রান্ত হবেন। তবে তিনি জানান, কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন এটির থেকে কতজন অসুস্থ হয়েছেন তার দিকেই নজর দেয়া হবে। কোভিড বাধানিষেধ আরো কঠিন করা ছাড়াই ও’মিক্রন ঢেউ পাড় করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।